এক দিন গরজিয়া কহিল মহিষ, ঘোড়ার মতন মোর থাকিবে সহিস। একেবারে ছাড়িয়াছি মহিষি-চলন, দুই বেলা চাই মোর দলন-মলন। এই ভাবে প্রতিদিন, রজনী পোহালে, বিপরীত দাপাদাপি করে সে গোহালে। প্রভু কহে,চাই বটে! ভালো, তাই হোক! পশ্চাতে রাখিল তার দশ জন লোক। দুটো দিন না যাইতে কেঁদে কয় মোষ, আর কাজ নেই প্রভু, হয়েছে সন্তোষ। সহিসের হাত হতে দাও অব্যাহতি, দলন-মলনটার বাড়াবাড়ি অতি।
আমার ভাঙা পথের রাঙা ধুলায় পড়েছে কার পায়ের চিহ্ন। তারি গলার মালা হতে পাপড়ি হেথায় লুটায় ছিন্ন। এল যখন সাড়াটি নাই, গেল চলে জানাল তাই, এমন করে আমারে হায় কে বা কাঁদায় সে জন ভিন্ন। তখন তরুণ ছিল অরুণ-আলো, পথটি ছিল কুসুমকীর্ণ। বসন্ত যে রঙীন বেশে ধরায় সেদিন অবতীর্ণ। সেদিন খবর মিলল না যে, রইনু বসে ঘরের মাঝে, আজকে পথে বাহির হব বহি আমার জীবন জীর্ণ।