গভীর রাতে ভক্তিভরে কে জাগে আজ, কে জাগে। সপ্ত ভুবন আলো করে লক্ষ্মী আসেন, কে জাগে। ষোলো কলায় পূর্ণ শশী, নিশার আঁধার গেছে খসি– একলা ঘরের দুয়ার-’পরে কে জাগে আজ, কে জাগে। ভরেছ কি ফুলের সাজি। পেতেছ কি আসন আজি। সাজিয়ে অর্ঘ্য পূজার তরে কে জাগে আজ, কে জাগে। আজ যদি রোস্ ঘুমে মগন চলে যাবে শুভলগন, লক্ষ্মী এসে যাবেন স’রে– কে জাগে আজ কে জাগে।।
বিদায় করেছ যারে নয়ন-জলে, এখন ফিরাবে তারে কিসের ছলে গো॥ আজি মধু সমীরণে নিশীথে কুসুমবনে তারে কি পড়েছে মনে বকুলতলে॥ সে দিনও তো মধুনিশি প্রাণে গিয়েছিল মিশি, মুকুলিত দশ দিশি কুসুমদলে। দুটি সোহাগের বাণী যদি হত কানাকানি যদি ঐ মালাখানি পরাতে গলে। এখন ফিরাবে তারে কিসের ছলে গো মধুনিশি পূর্ণিমার ফিরে আসে বার বার, সে জন ফেরে না আর যে গেছে চলে ছিল তিথি অনকূল, শুধু নিমেষের ভুল-- চিরদিন তৃষাকুল পরান জ্বলে। এখন ফিরাবে তারে কিসের ছলে গো। ।