ওই আদরের নামে ডেকো সখা মোরে! ছেলেবেলা ওই নামে আমায় ডাকিত-- তাড়াতাড়ি খেলাধুলা সব ত্যাগ করে অমনি যেতেম ছুটে, কোলে পড়িতাম লুটে। রাশি-করা ফুলগুলি পড়িয়া থাকিত। নীরব হইয়া গেছে যে স্নেহের স্বর-- কেবল স্তব্ধতা বাজে আজি এ শ্মশান-মাঝে কেবল ডাকি গো আমি "ঈশ্বর ঈশ্বর'! মৃত কণ্ঠে আর যাহা শুনিতে না পাই সে নাম তোমারি মুখে শুনিবারে চাই। হাঁ সখা, ডাকিয়ো তুমি সেই নাম ধরে-- ডাকিলেই সাড়া পাবে, কিছু না বিলম্ব হবে, তখনি কাছেতে যাব সব ত্যাগ করে।
আরোগ্যশালার রাজকবি সুধাকান্ত আঁকে বসি প্রত্যহের তুচ্ছতার ছবি। মনে আছে একমাত্র আশা বুদ্বুদের ইতিহাসে সুদীর্ঘকালের নেই ভাষা। বাহিরে চলেছে দূরে বিরাটের প্রলয়ের পালা অকিঞ্চিৎকরের স্তূপ জমাইছে এ আরোগ্যশালা। লিখিবার বাণী কোথা যে দিকেই দু চক্ষু বুলাই অর্থহীন ছড়া কেটে কোনোমতে নিজেরে ভুলাই। ধাক্কা তারে দেয় পিছে ক্ষ্যাপা ঊনপঞ্চাশ বায়ু এ বেলা ও বেলা তার আয়ু। পোষাকি যে সাজে মাথা তুলে বসি সভামাঝে, সে আমার রঙ মাজা খোলসগুলোয় ঢিল লেগে তারা আজ খসেছে ধুলোয়, সুধাকান্ত নেপথ্যেই লোক করে জড়ো, পাঁচ জনে খুশি হয় বড়ো যত তারা বলে বাহা-বাহা কবিবর ঝাঁট দিয়ে আনে যাহা তাহা।