শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে পড়ুক ঝরে তোমারি সুরটি আমার মুখের 'পরে বুকের 'পরে। পুরবের আলোর সাথে পড়ুক প্রাতে দুই নয়ানে- নিশীথের অন্ধকারে গভীর ধারে পড়ুক প্রাণে, নিশিদিন এই জীবনের সুখের 'পরে দুঃখের 'পরে শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে পড়ুক ঝরে। যে শাখায় ফুল ফোটে না ফল ধরে না একেবারে তোমার ওই বাদল-বায়ে দিক জাগায়ে সেই শাখারে। যা-কিছু জীর্ণ আমার দীর্ণ আমার জীবনহারা তাহারি স্তরে স্তরে পড়ুক ঝরে সুরের ধারা। নিশিদিন এই জীবনের তৃষার 'পরে ভুখের 'পরে শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে পড়ুক ঝরে।
ছবি ও গান নিয়ে আমার বলবার কথাটা বলে নিই। এটা বয়ঃসন্ধিকালের লেখা, শৈশব যৌবন যখন সবে মিলেছে। ভাষায় আছে ছেলেমানুষি, ভাবে এসেছে কৈশোর। তার পূর্বেকার অবস্থায় একটা বেদনা ছিল অনুদ্দিষ্ট, সে যেন প্রলাপ ব'কে আপনাকে শান্ত করতে চেয়েছে। এখন সেই বয়স যখন কামনা কেবল সুর খুঁজছে না, রূপ খুঁজতে বেরিয়েছে। কিন্তু আলো-আঁধারে রূপের আভাস পায়, স্পষ্ট করে কিছু পায় না। ছবি এঁকে তখন প্রত্যক্ষতার স্বাদ পাবার ইচ্ছা জেগেছে মনে কিন্তু ছবি আঁকবার হাত তৈরি হয় নি তো। কবি সংসারের ভিতরে তখনও প্রবেশ করে নি, তখনও সে বাতায়নবাসী। দূর থেকে যার আভাস দেখে তার সঙ্গে নিজের মনের নেশা মিলিয়ে দেয়। এর কোনো-কোনোটা চোখে দেখা একটুকরো ছবি পেনসিলে আঁকা, রবারে ঘষে দেওয়া, আর কোনো-কোনোটা সম্পূর্ণ বানানো। মোটের উপরে অক্ষম ভাষার ব্যাকুলতায় সবগুলিতেই বানানো ভাব প্রকাশ পেয়েছে, সহজ হয় নি। কিন্তু সহজ হবার একটা চেষ্টা দেখা যায়। সেইজন্যে চলতি ভাষা আপন এলোমেলো পদক্ষেপে এর যেখানে-সেখানে প্রবেশ করেছে। আমার ভাষায় ও ছন্দে এই একটা মেলামেশা আরম্ভ হল। ছবি ও গান কড়ি ও কোমলের ভূমিকা করে দিলে।
IN THE ENDLESS paths of the world; among numberless activities, her nature is scattered with all that is unattained in her and incomplete. By the sick-bed around one eager aim she appears as a new vision complete in her being, where all the goodness of all things becomes centred in her, in her touch, in her sleepless anxious eyes.