বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি, সে কি সহজ গান। সেই সুরেতে জাগব আমি দাও মোরে সেই কান। ভুলব না আর সহজেতে, সেই প্রাণে মন উঠবে মেতে মৃত্যুমাঝে ঢাকা আছে যে অন্তহীন প্রাণ। সে ঝড় যেন সই আনন্দে চিত্তবীণার তারে সপ্ত সিন্ধু দশ দিগন্ত নাচাও যে ঝংকারে। আরাম হতে ছিন্ন ক'রে সেই গভীরে লও গো মোরে অশান্তির অন্তরে যেথায় শান্তি সুমহান।
ভুত হয়ে দেখা দিল বড়ো কোলাব্যাঙ, এক পা টেবিলে রাখে, কাঁধে এক ঠ্যাঙ। বনমালী খুড়ো বলে, -- 'করো মোরে রক্ষে, শীতল দেহটি তব বুলিয়ো না বক্ষে।' উত্তর দেয় না সে, দেয় শুধু 'ক্যাঙ'।
দাদুরে যে মনে করে লিখেছ এ চিঠি তাই ভাবি দাদুতেও আছে কিছু মিঠি। সেটা কি অহৈতুকী প্রীতি অথবা চকোলেটের স্মৃতি-- এ কথাটা নয় খুব সোজা, হয়তো বছর-কয় যাবে নাকো বোঝা। তবু যদি লিখে রাখি তাহে ক্ষতি নেই সংক্ষেপে এই-- ভিতরে এনেছ তুমি বিধাতার চিনি, আমি সে বাহির হতে বাজারেতে কিনি।