"কোরো না ছলনা, কোরো না ছলনা যেয়ো না ফেলিয়া মোরে! এতই যাতনা দুখিনী আমারে দিতেছ কেমন করে? গাঁথিয়া রেখেছি পরাতে মালিকা তোমার গলার-'পরে, কোরো না ছলনা, কোরো না ছলনা, যেয়ো না ফেলিয়া মোরে! এতই যাতনা দুখিনী-বালারে দিতেছ কেমন করে? যে শপথ তুমি বলেছ আমারে মনে করে দেখো তবে, মনে করো সেই কুঞ্জ যেথায় কহিলে আমারি হবে। কোরো না ছলনা-- কোরো না ছলনা যেয়ো না ফেলিয়া মোরে, এতই যাতনা দুখিনী-বালারে দিতেছ কেমন করে?' এত বলি এক কাঁদিছে ললনা ভাসিছে লোচন-লোরে "কোরো না ছলনা-- কোরো না ছলনা যেয়ো না ফেলিয়া মোরে। এতই যাতনা দুখিনী-বালারে দিতেছ কেমন করে?'
শত শত লোক চলে শত শত পথে। তারি মাঝে কোথা কোন্ রথে সে আসিছে যার আজি নব অভ্যুদয়। দিক্লক্ষ্মী গাহিল না জয়; আজও রাজটিকা ললাটে হল না তার লিখা। নাই অস্ত্র, নাই সৈন্যদল, অস্ফুট তাহার বাণী, কণ্ঠে নাহি বল। সে কি নিজে জানে আসিছে সে কী লাগিয়া, আসে কোন্খানে! যুগের প্রচ্ছন্ন আশা করিছে রচনা তার অভ্যর্থনা কোন্ ভবিষ্যতে-- কোন্ অলক্ষিত পথে আসিতেছে অর্ঘ্যভার! আকাশে ধ্বনিছে বারম্বার-- "মুখ তোলো, আবরণ খোলো হে বিজয়ী, হে নির্ভীক, হে মহাপথিক-- তোমার চরণক্ষেপ পথে পথে দিকে দিকে মুক্তির সংকেতচিহ্ন যাক লিখে লিখে।'