আমার ভাঙা পথের রাঙা ধুলায় পড়েছে কার পায়ের চিহ্ন! তারি গলার মালা হতে পাপড়ি হোথা লুটায় ছিন্ন ॥ এল যখন সাড়াটি নাই, গেল চলে জানালো তাই-- এমন ক'রে আমারে হায় কে বা কাঁদায় সে জন ভিন্ন ॥ তখন তরুণ ছিল অরুণ আলো, পথটি ছিল কুসুমকীর্ণ। বসন্ত যে রঙিন বেশে ধরায় সে দিন অবতীর্ণ। সে দিন খবর মিলল না যে, রইনু বসে ঘরের মাঝে-- আজকে পথে বাহির হব বহি আমার জীবন জীর্ণ ॥
চলো নিয়ম-মতে। দূরে তাকিয়ো নাকো, ঘাড় বাঁকিয়ো নাকো ! চলো সমান পথে। ‘হেরো অরণ্য ওই, হোথা শৃঙ্খলা কই– পাগল ঝর্নাগুলো দক্ষিণপর্বতে।’ ও দিক চেয়ো না, চেয়ো না– যেয়ো না, যেয়ো না। চলো সমান পথে।।
আমার মন, যখন জাগলি না রে ও তোর মনের মানুষ এল দ্বারে। তার চলে যাওয়ার শব্দ শুনে ভাঙল রে ঘুম-- ও তোর ভাঙল রে ঘুম অন্ধকারে ॥ মাটির 'পরে আঁচল পাতি একলা কাটে নিশীথরাতি। তার বাঁশি বাজে আঁধার-মাঝে, দেখি না যে চক্ষে তারে ॥ ওরে, তুই যাহারে দিলি ফাঁকি খুঁজে তারে পায় কি আঁখি? এখন পথে ফিরে পাবি কি রে ঘরের বাহির করলি যারে?।