বিধি ডাগর আঁখি যদি দিয়েছিল সে কি আমারি পানে ভুলে পড়িবে না॥ দুটি অতুল পদতলে রাতুল শতদল জানি না কী লাগিয়া পরশে ধরাতল, মাটির 'পরে তার করুণা মাটি হল--সে পদ মোর পথে চলিবে না? তব কণ্ঠ 'পরে হয়ে দিশাহারা বিধি অনেক ঢেলেছিল মধুধারা। যদি ও মুখ মনোরম শ্রবণে রাখি মম নীরবে অতি ধীরে ভ্রমরগীতিসম দু কথা বল যদি 'প্রিয়' বা 'প্রিয়তম', তাহে তো কণা মধু ফুরাবে না। হাসিতে সুধানদী উছলে নিরবধি, নয়নে ভরি উঠেঅমৃতমহোদধি-- এত সুধা কেন সৃজিল বিধি, যদিআমারি তৃষাটুকু পুরাবে না॥
দখিন-হাওয়া, জাগো জাগো, জাগাও আমার সুপ্ত এ প্রাণ। আমি বেণু, আমার শাখায় নীরব-যে হায় কত-না গান। জাগো জাগো॥ পথের ধারে আমার কারা ওগো পথিক বাঁধনহারা, নৃত্য তোমার চিত্তে আমার মুক্তিদোলা করে যে দান। জাগো জাগো॥ গানের পাখা যখন খুলি বাধা-বেদন তখন ভুলি। যখন আমার বুকের মাঝে তোমার পথের বাঁশি বাজে বন্ধভাঙার ছন্দে আমার মৌন-কাঁদন হয় অবসান। জাগো জাগো॥