তোমারি ঝরনাতলার নির্জনে মাটির এই কলস আমার ছাপিয়ে গেল কোন্ ক্ষণে ॥ রবি ওই অস্তে নামে শৈলতলে, বলাকা কোন্ গগনে উড়ে চলে-- আমি এই করুণ ধারার কলকলে নীরবে কান পেতে রই আনমনে তোমারি ঝরনাতলার নির্জনে ॥ দিনে মোর যা প্রয়োজন বেড়াই তারি খোঁজ করে, মেটে বা নাই মেটে তা ভাবব না আর তার তরে সারাদিন অনেক ঘুরে দিনের শেষে এসেছি সকল চাওয়ার বাহির-দেশে, নেব আজ অসীম ধারার তীরে এসে প্রয়োজন ছাপিয়ে যা দাও সেই ধনে তোমারি ঝরনাতলার নির্জনে ॥
মধুঋতু নিত্য হয়ে রইল তোমার মধুর দেশে– যাওয়া-আসার কান্নাহাসি হাওয়ায় সেথা বেড়ায় ভেসে । যায় যে জনা সেই শুধু যায়, ফুল ফোটা তো ফুরোয় না হায়– ঝরবে যে ফুল সেই কেবলই ঝরে পড়ে বেলাশেষে ।। যখন আমি ছিলেম কাছে তখন কত দিয়েছি গান– এখন আমার দূরে যাওয়া, এরও কি গো নাই কোনো দান । পুষ্পবনের ছায়ায় ঢেকে এই আশা তাই গেলেম রেখে– আগুন-ভরা ফাগুনকে তোর কাঁদায় যেন আষাঢ় এসে ।।