একলা আমি বাহির হলেম তোমার অভিসারে, সাথে সাথে কে চলে মোর নীরব অন্ধকারে। ছাড়াতে চাই অনেক করে ঘুরে চলি, যাই যে সরে, মনে করি আপদ গেছে, আবার দেখি তারে। ধরণী সে কাঁপিয়ে চলে-- বিষম চঞ্চলতা। সকল কথার মধ্যে সে চায় কইতে আপন কথা। সে যে আমার আমি, প্রভু, লজ্জা তাহার নাই যে কভু, তারে নিয়ে কোন্ লাজে বা যাব তোমার দ্বারে।
ঝড়ে যায় উড়ে যায় গো আমার মুখের আঁচলখানি। ঢাকা থাকে না হায় গো, তারে রাখতে নারি টানি। আমার রইল না লাজলজ্জা, আমার ঘুচল গো সাজসজ্জা তুমি দেখলে আমারে এমন প্রলয়মাঝে আনি, আমায় এমন মরণ হানি। হঠাৎ আকাশ উজলি' কারে খুঁজে কে ওই চলে। চমক লাগায় বিজলি আমার আঁধার ঘরের তলে। তবে নিশীথ-গগন জুড়ে আমার যাক সকলি উড়ে, এই দারুণ কল্লোলে বাজুক আমার প্রাণের বাণী কোনো বাঁধন নাহি মানি।