বহু লক্ষ বর্ষ ধরে জ্বলে তারা, ধাবমান অন্ধকার কালস্রোতে অগ্নির আবর্ত ঘুরে ওঠে। সেই স্রোতে এ ধরণী মাটির বুদ্বুদ্; তারি মধ্যে এই প্রাণ অণুতম কালে কণাতম শিখা লয়ে অসীমের করে সে আরতি। সে না হলে বিরাটের নিখিলমন্দিরে উঠত না শঙ্খধ্বনি, মিলত না যাত্রী কোনোজন, আলোকের সামমন্ত্র ভাষাহীন হয়ে রইত নীরব।
ট্রাম্-কন্ডাক্টার, হুইসেলে ফুঁক দিয়ে শহরের বুক দিয়ে বারো-আনা বাকি তার মাথাটার তেলো যে, চিরুনির চালাচালি শেষ হয়ে এল যে। বিধাতার নিজ হাতে ঝাঁট-দেওয়া ফাঁকটার কিছু চুল দুপাশেতে ফুটপাত আছে পেতে, মাঝে বড়ো রাস্তাটা বুক জুড়ে টাকটার।