তুমি বাহির থেকে দিলে বিষম তাড়া তাই ভয়ে ঘোরায় দিক্বিদিকে, শেষে অন্তরে পাই সাড়া ॥ যখন হারাই বন্ধ ঘরের তালা-- যখন অন্ধ নয়ন, শ্রবণ কালা, তখন অন্ধকারে লুকিয়ে দ্বারে শিকলে দাও নাড়া ॥ যত দুঃখ আমার দুঃস্বপনে, সে যে ঘুমের ঘোরেই আসে মনে-- ঠেলা দিয়ে মায়ার আবেশ কর গো দেশছাড়া। আমি আপন মনের মারেই মরি, শেষে দশ জনারে দোষী করি-- আমি চোখ বুজে পথ পাই নে ব'লে কেঁদে ভাসাই পাড়া ॥
চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে। অন্তরে আজ দেখব, যখন আলোক নাহি রে॥ ধরায় যখন দাও না ধরা হৃদয় তখন তোমায় ভরা, এখন তোমার আপন আলোয় তোমায় চাহি রে॥ তোমায় নিয়ে খেলেছিলেম খেলার ঘরেতে। খেলার পুতুল ভেঙে গেছে প্রলয় ঝড়েতে। থাক্ তবে সেই কেবল খেলা, হোক-না এখন প্রাণের মেলা-- তারের বীণা ভাঙল, হৃদয়-বীণায় গাহি রে॥