ভরা থাক্ স্মৃতিসুধায় বিদায়ের পাত্রখানি। মিলনের উৎসবে তায় ফিরায়ে দিয়ো আনি॥ বিষাদের অশ্রুজলে নীরবের মর্মতলে গোপনে উঠুক ফলে হৃদয়ের নূতন বাণী॥ যে পথে যেতে হবে সে পথে তুমি একা-- নয়নে আঁধার রবে, ধেয়ানে আলোকরেখা। সারা দিন সঙ্গোপনে সুধারস ঢালবে মনে পরানের পদ্মবনে বিরহের বীণাপাণি॥
কোন্ ভীরুকে ভয় দেখাবি, আঁধার তোমার সবই মিছে। ভরসা কি মোর সামনে শুধু। নাহয় আমায় রাখবি পিছে।। আমায় দূরে যেই তাড়াবি সেই তো রে তোর কাজ বাড়াবি– তোমায় নীচে নামতে হবে আমায় যদি ফেলিস নীচে।। যাচাই ক’রে নিবি মোরে এই খেলা কি খেলবি ওরে। যে তোর হাত জানে না, মারকে জানে, ভয় লেগে রয় তাহার প্রাণে– যে তোর মার ছেড়ে তোর হাতটি দেখে আসল জানা সেই জানিছে।।
এ কী আনন্দ, আহা-- হৃদয়ে দেহে ঘুচালে মম সকল বন্ধ। দুঃখ আমার আজি হল যে ধন্য, মৃত্যুগহনে লাগে অমৃতসুগন্ধ। এলে কারাগারে রজনীর পারে উষাসম মুক্তিরূপা অয়ি লক্ষ্ণী দয়াময়ী।