তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে মোর প্রাণে, এ আগুন ছড়িয়ে গেল সব খানে। যত সব মরা গাছের ডালে ডালে নাচে আগুন তালে তালে, আকাশে হাত তোলে সে কার পানে? আঁধারের তারা যত অবাক হয়ে রয় চেয়ে, কোথাকার পাগল হাওয়া বয় ধেয়ে। নিশীথের বুকের মাঝে এই যে অমল উঠল ফুটে স্বর্ণ-কমল, আগুনের কী গুণ আছে কে জানে।
আমার ভাঙা পথের রাঙা ধুলায় পড়েছে কার পায়ের চিহ্ন। তারি গলার মালা হতে পাপড়ি হেথায় লুটায় ছিন্ন। এল যখন সাড়াটি নাই, গেল চলে জানাল তাই, এমন করে আমারে হায় কে বা কাঁদায় সে জন ভিন্ন। তখন তরুণ ছিল অরুণ-আলো, পথটি ছিল কুসুমকীর্ণ। বসন্ত যে রঙীন বেশে ধরায় সেদিন অবতীর্ণ। সেদিন খবর মিলল না যে, রইনু বসে ঘরের মাঝে, আজকে পথে বাহির হব বহি আমার জীবন জীর্ণ।