তুমি এ পার-ও পার কর কে গো, ওগো খেয়ার নেয়ে! আমি ঘরের দ্বারে বসে বসে দেখি যে তাই চেয়ে, ওগো খেয়ার নেয়ে! ভাঙিলে হাট দলে দলে সবাই যবে ঘাটে চলে আমি তখন মনে করি আমিও যাই ধেয়ে, ওগো খেয়ার নেয়ে! তুমি সন্ধ্যাবেলা ও পার-পানে তরণী যাও বেয়ে, দেখে মন আমার কেমন সুরে ওঠে যে গান গেয়ে, ওগো খেয়ার নেয়ে! কালো জলের কলোকলে আঁখি আমার ছলোছলে, ও পার হতে সোনার আভা পরান ফেলে ছেয়ে, ওগো খেয়ার নেয়ে! দেখি তোমার মুখে কথাটি নেই, ওগো খেয়ার নেয়ে! কী যে তোমার চোখে লেখা আছে দেখি যে তাই চেয়ে, ওগো খেয়ার নেয়ে! আমার মুখে ক্ষণতরে যদি তোমার আঁখি পড়ে আমি তখন মনে করি আমিও যাই ধেয়ে, ওগো খেয়ার নেয়ে!
ওগো মোর নাহি যে বাণী আকাশে হৃদয় শুধু বিছাতে জানি। আমি অমাবিভাবরী আলোকহারা মেলিয়া তারা চাহি নিঃশেষ পথপানে নিষ্ফল আশা নিয়ে প্রাণে। বহুদূরে বাজে তব বাঁশি, সকরুণ সুর আসে ভাসি বিহ্বল বায়ে নিদ্রাসমুদ্র পারায়ে। তোমারি সুরের প্রতিধ্বনি দিই যে ফিরায়ে-- সে কি তব স্বপ্নের তীরে ভাঁটার স্রোতের মতো লাগে ধীরে, অতি ধীরে ধীরে।