আমি কেমন করিয়া জানাব আমার জুড়ালো হৃদয় জুড়ালো-- আমার জুড়ালো হৃদয় প্রভাতে। আমি কেমন করিয়া জানাব আমার পরান কী নিধি কুড়ালো-- ডুবিয়া নিবিড় নীরব শোভাতে। আজ গিয়েছি সবার মাঝারে, সেথায় দেখেছি একেলা আলোকে-- দেখেছি আমার হৃদয়-রাজারে। আমি দু-একটি কথা কয়েছি তা-সনে সে নীরব সভা-মাঝারে-- দেখেছি চিরজনমের রাজারে। ওগো, সে কি মোরে শুধু দেখেছিল চেয়ে অথবা জুড়ালো পরশে-- তাহার কমলকরের পরশে-- আমি সে কথা সকলি গিয়েছি যে ভুলে ভুলেছি পরম হরষে। আমি জানি না কী হল, শুধু এই জানি চোখে মোর সুখ মাখালো-- কে যেন সুখ-অঞ্জন মাখালো-- কার আঁখিভরা হাসি উঠিল প্রকাশি যে দিকেই আঁখি তাকালো। আজ মনে হল কারে পেয়েছি-- কারে যে পেয়েছি সে কথা জানি না। আজ কী লাগি উঠিছে কাঁপিয়া কাঁপিয়া সারা আকাশের আঙিনা-- কিসে যে পুরেছে শূন্য জানি না। এই বাতাস আমারে হৃদয়ে লয়েছে, আলোক আমার তনুতে-- কেমনে মিলে গেছে মোর তনুতে। তাই এ গগনভরা প্রভাত পশিল আমার অণুতে অণুতে। আজ ত্রিভুবন-জোড়া কাহার বক্ষে দেহ মন মোর ফুরালো-- যেন রে নিঃশেষে আজি ফুরালো। আজ যেখানে যা হেরি সকলেরি মাঝে জুড়ালো জীবন জুড়ালো-- আমার আদি ও অন্ত জুড়ালো।
ঠাকুর, তব পায়ে নমোনমঃ, পাপিষ্ঠ এই অক্ষমেরে ক্ষম, আজ বসন্তে বিনয় রাখো মম বন্ধ করো শ্রীমদ্ভাগবত। শাস্ত্র যদি নেহাত পড়তে হবে গীত-গোবিন্দ খোলা হোক-না তবে। শপথ মম, বোলো না এই ভবে জীবনখানা শুধুই স্বপ্নবৎ। একটা দিনের সন্ধি করিয়াছি, বন্ধ আছে যমরাজের সমর-- আজকে শুধু এক বেলারই তরে আমরা দোঁহে অমর দোঁহে অমর। স্বয়ং যদি আসেন আজি দ্বারে মান্ব নাকো রাজার দারোগারে-- কেল্লা হতে ফৌজ সারে সারে দাঁড়ায় যদি, ওঁচায় ছোরা-ছুরি, বলব, "রে ভাই, বেজার কোরো নাকো, গোল হতেছে, একটু থেমে থাকো, কৃপাণ-খোলা শিশুর খেলা রাখো খ্যাপার মতো কামান-ছোঁড়াছুঁড়ি। একটুখানি সরে গিয়ে করো সঙের মতো সঙিন ঝম-ঝমর। আজকে শুধু এক বেলারই তরে আমরা দোঁহে অমর দোঁহে অমর।' বন্ধুজনে যদি পুণ্যফলে করেন দয়া, আসেন দলে দলে, গলায় বস্ত্র কব নয়নজলে, "ভাগ্য নামে অতিবর্ষা-সম! এক দিনেতে অধিক মেশামেশি শ্রান্তি বড়োই আনে শেষাশেষি, জান তো ভাই, দুটি প্রাণীর বেশি এ কুলায়ে কুলায় নাকো মম। ফাগুন-মাসে ঘরের টানাটানি-- অনেক চাঁপা, অনেকগুলি ভ্রমর । ক্ষুদ্র আমার এই অমরাবতী-- আমরা দুটি অমর, দুটি অমর।'
I HAD GONE a-begging from door to door in the village path, when thy golden chariot appeared in the distance like a gorgeous dream and I wondered who was this King-of all kings! My hopes rose high and methought my evil days were at an end, and I stood waiting for alms to be given unasked and for wealth scattered on all sides in the dust. The chariot stopped where I stood. Thy glance fell on me and thou camest down with a smile. I felt that the luck of my life had come at last Then of a sudden thou didst hold out thy right hand and say 'What hast thou to give to me?' Ah, what a kingly jest was it to open thy palm to a beggar to beg! I was confused and stood undecided, and then from my wallet I slowly took out the least little grain of corn and gave it to thee. But how great my surprise when at the day's end I emptied my bag on the floor to find a least little grain of gold among the poor heap. I bitterly wept and wished that I had had the heart to give thee my all.