প্র. ভাদ্র ১৩০৯


 

সালগম-সংবাদ (salgom songbad)


                            নাতিনীর পত্র

শ্রীচরণেষু

        দাদামহাশয়

               খেয়েছ যে সাল্‌গম  না করিয়া কাল-গম

                      এই আমি বহুভাগ্য মানি।

               তার পরে মিঠি মিঠি লিখেছ স্নেহের চিঠি,

                      তার মূল্য কী আছে কী জানি।

               তুচ্ছ এই উপহার   কে জানিত কমলার

                      পদ্মসরোবর দিবে নাড়া--

               সালগম মটন রোস্টে          কবির অধর-ওষ্ঠে

                      খুলি দিবে কাব্যের ফোয়ারা।

               কিন্তু বড়দাদা-ভাই   বড়ো মনে দুঃখ পাই

                      এ খেদ যাবে না প্রাণ গেলে--

               শুনিতে হইল এও   ভাগ্যবান তোমারেও

                      নাচের দোসর নাহি মেলে!

               নাহয় না হল বুড়ি   তবুও তো ঝুড়ি ঝুড়ি

                      নাতিনীতে ঘরটি বোঝাই--

               যারেই লইবে বাছি   সেই তো উঠিবে নাচি,

                      নাচিবার ভাবনা তো নাই।

               এ কথা ভুলিলে যবে         বুঝায়ে কী আর হবে--

                      ধিক্‌ তবে মোর সালগমে।

               বুঝিলাম তরকারি   যত হোক দরকারী,

                      তাহাতে কবিত্ব নাহি জমে।

               আর না করিব ভুল--        এবারে বসন্তে ফুল

                      তুলিয়া আনিব ভরি ডালা।

               সালগম পেঁয়াজকলিজলে দিয়া জলাঞ্জলি

                      পাঠাইব বকুলের মালা।

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •