তোমাদের যে মিলন হবে বিশ্বে হল জানাজানি-- তারাগুলি করছে কেবল হাসাহাসি কানাকানি। রাত্রি যখন গভীর হবে বাসর-ঘরের বাতায়নে মারবে ওরা উঁকিঝুঁকি --এইটে ওদের আছে মনে। তোমরা যদি শোধ দিতে চাও, এনেছি এই যন্ত্রখানি[১] ওরা কেন লুকিয়ে রবে অন্ধকারের পর্দা টানি। তোমরা কোণে দাঁড়িয়ে দেখো আলোক-সভার মিলন-রাতি-- দ্যুলোকেতে ভূলোকেতে হোক-না আড়ি-পাতাপাতি।
পথে যতদিন ছিনু ততদিন অনেকের সনে দেখা। সব শেষ হল যেখানে সেথায় তুমি আর আমি একা। নানা বসন্তে নানা বরষায় অনেক দিবসে অনেক নিশায় দেখেছি অনেক, সহেছি অনেক, লিখেছি অনেক লেখা-- পথে যতদিন ছিনু ততদিন অনেকের সনে দেখা। কখন যে পথ আপনি ফুরালো, সন্ধ্যা হল যে কবে! পিছনে চাহিয়া দেখিনু কখন চলিয়া গিয়াছে সবে। তোমার নীরব নিভৃত ভবনে জানি না কখন পশিনু কেমনে। অবাক রহিনু আপন প্রাণের নূতন গানের রবে। কখন যে পথ আপনি ফুরালো, সন্ধ্যা হল যে কবে! চিহ্ন কি আছে শ্রান্ত নয়নে অশ্রুজলের রেখা? বিপুল পথের বিবিধ কাহিনী আছে কি ললাটে লেখা? রুধিয়া দিয়েছ তব বাতায়ন, বিছানো রয়েছে শীতল শয়ন, তোমার সন্ধ্যাপ্রদীপ-আলোকে তুমি আর আমি একা। নয়নে আমার অশ্রুজলের চিহ্ন কি যায় দেখা!