যখন তোমায় আঘাত করি তখন চিনি। শত্রু হয়ে দাঁড়াই যখন লও যে জিনি॥ এ প্রাণ যত নিজের তরে তোমারি ধন হরণ করে ততই শুধু তোমার কাছে হয় সে ঋণী॥ উজিয়ে যেতে চাই যতবার গর্বসুখে, তোমার স্রোতের প্রবল পরশ পাই যে বুকে। আলো যখন আলসভরে নিবিয়ে ফেলি আপন ঘরে লক্ষ তারা জ্বালায় তোমার নিশীথিনী॥
আমি নিশিদিন তোমায় ভালোবাসি, তুমি অবসরমত বাসিয়ো। নিশিদিন হেথায় বসে আছি, তোমার যখন মনে পড়ে আসিয়ো ॥ আমি সারানিশি তোমা-লাগিয়া রব বিরহশয়নে জাগিয়া-- তুমি নিমেষের তরে প্রভাতে এসে মুখপানে চেয়ে হাসিয়ো ॥ তুমি চিরদিন মধুপবনে চির- বিকশিত বনভবনে যেয়ো মনোমত পথ ধরিয়া তুমি নিজ সুখস্রোতে ভাসিয়ো। যদি তার মাঝে পড়ি আসিয়া তবে আমিও চলিব ভাসিয়া, যদি দূরে পড়ি তাহে ক্ষতি কী-- মোর স্মৃতি মন হতে নাশিয়ো ॥