আজ ফুল ফুটেছে মোর আসনের ডাইনে বাঁয়ে; পূজার ছায়ে। ওরা মিশায় ওদের নীরব ক্লান্তি আমার গানে, আমার প্রাণে। ওরা নেয় তুলে মোর কণ্ঠ ওদের সকল গায়ে পূজার ছায়ে। হেথায় সাড়া পেল বাহির হল প্রভাত-রবি অমল-ছবি। সে যে আলোটি তার মিলিয়ে দিল আমার মাথে প্রণাম-সাথে। সে যে আমার চোখে দেখে নিল আমার মায়ে পূজার ছায়ে।
এই তীর্থ-দেবতার ধরণীর মন্দির-প্রাঙ্গণে যে পূজার পুষ্পাঞ্জলি সাজাইনু সযত্ন চয়নে সায়াহ্নের শেষ আয়োজন; যে পূর্ণ প্রণামখানি মোর সারা জীবনের অন্তরের অনির্বাণ বাণী জ্বালায়ে রাখিয়া গেনু আরতির সন্ধ্যাদীপ-মুখে সে আমার নিবেদন তোমাদের সবার সম্মুখে হে মোর অতিথি যত। তোমরা এসেছ এ জীবনে কেহ প্রাতে, কেহ রাতে, বসন্তে, শ্রাবণ-বরিষনে; কারো হাতে বীণা ছিল, কেহ বা কম্পিত দীপশিখা এনেছিলে মোর ঘরে; দ্বার খুলে দুরন্ত ঝটিকা বার বার এনেছ প্রাঙ্গণে। যখন গিয়েছ চলে দেবতার পদচিহ্ন রেখে গেছ মোর গৃহতলে। আমার দেবতা নিল তোমাদের সকলের নাম; রহিল পূজায় মোর তোমাদের সবারে প্রণাম।