গাবার মতো হয় নি কোনো গান, দেবার মতো হয় নি কিছু দান। মনে যে হয় সবি রইল বাকি তোমায় শুধু দিয়ে এলেম ফাঁকি, কবে হবে জীবন পূর্ণ করে এই জীবনের পূজা অবসান। আর-সকলের সেবা করি যত প্রাণপণে দিই অর্ঘ্য ভরি ভরি। সত্য মিথ্যা সাজিয়ে দিই যে কত দীন বলিয়া পাছে ধরা পড়ি। তোমার কাছে গোপন কিছু নাই, তোমার পূজায় সাহস এত তাই, যা আছে তাই পায়ের কাছে আনি অনাবৃত দরিদ্র এই প্রাণ।
ভুত হয়ে দেখা দিল বড়ো কোলাব্যাঙ, এক পা টেবিলে রাখে, কাঁধে এক ঠ্যাঙ। বনমালী খুড়ো বলে, -- 'করো মোরে রক্ষে, শীতল দেহটি তব বুলিয়ো না বক্ষে।' উত্তর দেয় না সে, দেয় শুধু 'ক্যাঙ'।
গান মনে হল যেন পেরিয়ে এলেম অন্তবিহীন পথ আসিতে তোমার দ্বারে, মরুতীর হতে সুধাশ্যামলিম পারে। পথ হতে আমি গাঁথিয়া এনেছি সিক্ত যূথীর মালা সকরুণ নিবেদনের গন্ধ-ঢালা, লজ্জা দিয়ো না তারে। সজল মেঘের ছায়া ঘনাইছে বনে বনে, পথ-হারানোর বাজিছে বেদনা সমীরণে। দূর হতে আমি দেখেছি তোমার ওই বাতায়নতলে নিভৃতে প্রদীপ জ্বলে-- আমার এ আঁখি উৎসুক পাখি ঝড়ের অন্ধকারে।