জনগণমন-অধিনায়ক
                
                
জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ
বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গ
     তব শুভ নামে জাগে,    তব শুভ আশিস মাগে,
                   গাহে তব জয়গাথা।
জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
     জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে ॥
    
অহরহ তব আহ্বান প্রচারিত, শুনি তব উদার বাণী
হিন্দু বৌদ্ধ শিখ জৈন পারসিক মুসলমান খৃস্টানী
     পূরব পশ্চিম আসে  তব সিংহাসন-পাশে
                   প্রেমহার হয় গাঁথা।
জনগণ-ঐক্য-বিধায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
     জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে ॥
    
পতন-অভ্যুদয়-বন্ধুর পন্থা, যুগ-যুগ ধাবিত যাত্রী।
হে চিরসারথি, তব রথচক্রে মুখরিত পথ দিনরাত্রি।
     দারুণ বিপ্লব-মাঝে  তব শঙ্খধ্বনি বাজে
                   সঙ্কটদুঃখত্রাতা।
জনগণপথপরিচায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
     জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে॥
    
ঘোরতিমিরঘন নিবিড় নিশীথে পীড়িত মূর্ছিত দেশে
জাগ্রত ছিল তব অবিচল মঙ্গল নতনয়নে অনিমেষে।
     দুঃস্বপ্নে আতঙ্কে   রক্ষা করিলে অঙ্কে
                   স্নেহময়ী তুমি মাতা।
জনগণদুঃখত্রায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
     জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে ॥
    
রাত্রি প্রভাতিল, উদিল রবিচ্ছবি পূর্ব-উদয়গিরিভালে--
গাহে বিহঙ্গম, পুণ্য সমীরণ নবজীবনরস ঢালে।
     তব করুণারুণরাগে   নিদ্রিত ভারত জাগে
                   তব চরণে নত মাথা।
জয় জয় জয় হে, জয় রাজেশ্বর ভারতভাগ্যবিধাতা!
     জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে ॥
  
                
            
           
                        
                
                    রাগ : ইমন
                    তাল : কাহারবা
                    রচনাকাল (বঙ্গাব্দ) : 1318
                    রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ) : ডিসেম্বর, ১৯১১
                    রচনাস্থান : কলকাতা
                    স্বরলিপিকার: ডিসেম্বর, ১৯১১