পুষ্প দিয়ে মার যারে চিনল না সে মরণকে। বাণ খেয়ে যে পড়ে, সে যে ধরে তোমার চরণকে। সবার নীচে ধুলার 'পরে ফেল যারে মৃত্যু-শরে সে যে তোমার কোলে পড়ে-- ভয় কী বা তার পড়নকে। আরামে যার আঘাত ঢাকা, কলঙ্ক যার সুগন্ধ, নয়ন মেলে দেখল না সে রুদ্র মুখের আনন্দ। মজল না সে চোখের জলে, পৌঁছল না চরণতলে, তিলে তিলে পলে পলে ম'ল যেজন পালঙ্কে।
দাদুরে যে মনে করে লিখেছ এ চিঠি তাই ভাবি দাদুতেও আছে কিছু মিঠি। সেটা কি অহৈতুকী প্রীতি অথবা চকোলেটের স্মৃতি-- এ কথাটা নয় খুব সোজা, হয়তো বছর-কয় যাবে নাকো বোঝা। তবু যদি লিখে রাখি তাহে ক্ষতি নেই সংক্ষেপে এই-- ভিতরে এনেছ তুমি বিধাতার চিনি, আমি সে বাহির হতে বাজারেতে কিনি।