কান্নাহাসির-দোল-দোলানো পৌষ-ফাগুনের পালা, তারি মধ্যে চিরজীবন বইব গানের ডালা-- এই কি তোমার খুশি, আমায় তাই পরালে মালা সুরের-গন্ধ-ঢালা?। তাই কি আমার ঘুম ছুটেছে, বাঁধ টুটেছে মনে, খ্যাপা হাওয়ার ঢেউ উঠেছে চিরব্যথার বনে, কাঁপে আমার দিবানিশার সকল আঁধার আলা! এই কি তোমার খুশি, আমায় তাই পরালে মালা সুরের-গন্ধ-ঢালা?। রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি, বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি। শান্তি কোথায় মোর তরে হায় বিশ্বভুবন-মাঝে, অশান্তি যে আঘাত করে তাই তো বীণা বাজে। নিত্য রবে প্রাণ-পোড়ানো গানের আগুন জ্বালা-- এই কি তোমার খুশি, আমায় তাই পরালে মালা সুরের-গন্ধ-ঢালা?।
কে গো অন্তরতর সে আমার চেতনা আমার বেদনা তারি সুগভীর পরশে॥ আঁখিতে আমার বুলায় মন্ত্র, বাজায় হৃদয়বীণার তন্ত্র, কত আনন্দে জাগায় ছন্দ কত সুখে দুখে হরষে॥ সোনালি রুপালি সবুজে সুনীলে সে এমন মায়া কেমনে গাঁথিলে-- তারি সে আড়ালে চরণ বাড়ালে, ডুবালে সে সুধাসরসে। কত দিন আসে কত যুগ যায়, গোপনে গোপনে পরান ভুলায়, নানা পরিচয়ে নানা নাম ল'য়ে নিতি নিতি রস বরষে॥