তোমায় যখন সাজিয়ে দিলেম দেহ, করেছ সন্দেহ সত্য আমার দিই নি তাহার সাথে। তাই কেবলি বাজে আমার দিনে রাতে সেই সুতীব্র ব্যথা-- এমন দৈন্য, এমন কৃপণতা, যৌবন-ঐশ্বর্যে আমার এমন অসম্মান। সে লাঞ্ছনা নিয়ে আমি পাই নে কোথাও স্থান এই বসন্তে ফুলের নিমন্ত্রণে। ধেয়ান-মগ্ন ক্ষণে নৃত্যহারা শান্ত নদী সুপ্ত তটের অরণ্যচ্ছায়ায় অবসন্ন পল্লীচেতনায় মেশায় যখন স্বপ্নে-বলা মৃদু ভাষার ধারা-- প্রথম রাতের তারা অবাক চেয়ে থাকে, অন্ধকারের পারে যেন কানাকানির মানুষ পেল কাকে, হৃদয় তখন বিশ্বলোকের অনন্ত নিভৃতে দোসর নিয়ে চায় যে প্রবেশিতে-- কে দেয় দুয়ার রুধে, একলা ঘরের স্তব্ধ কোণে থাকি নয়ন মুদে। কী সংশয়ে কেন তুমি এলে কাঙাল বেশে। সময় হলে রাজার মতো এসে জানিয়ে কেন দাও নি আমায় প্রবল তোমার দাবি। ভেঙে যদি ফেলতে ঘরের চাবি ধুলার 'পরে মাথা আমার দিতেম লুটায়ে, গর্ব আমার অর্ঘ্য হত পায়ে। দুঃখের সংঘাতে আজি সুধার পাত্র উঠেছে এই ভ'রে, তোমার পানে উদ্দেশেতে ঊর্ধ্বে আছি ধ'রে চরম আত্মদান। তোমার অভিমান আঁধার ক'রে আছে আমার সমস্ত জগৎ, পাই নে খুঁজে সার্থকতার পথ।
I.39. are man, dhiraj kahe na dharai WHY SO impatient, my heart? He who watches over birds, beasts, and insects, He who cared for you whilst you were yet in your mother's womb, Shall He not care for you now that you are come forth? Oh my heart, how could you turn from the smile of your Lord and wander so far from Him? You have left your Beloved and are thinking of others: and this is why all your work is in vain.
মনে পড়ে, ছেলেবেলায় যে বই পেতুম হাতে ঝুঁকে পড়ে যেতুম পড়ে তাহার পাতে পাতে। কিছু বুঝি, নাই বা কিছু বুঝি, কিছু না হোক পুঁজি, হিসাব কিছু না থাক্ নিয়ে লাভ অথবা ক্ষতি, অল্প তাহার অর্থ ছিল, বাকি তাহার গতি। মনের উপর ঝরনা যেন চলেছে পথ খুঁড়ি, কতক জলের ধারা আবার কতক পাথর নুড়ি। সব জড়িয়ে ক্রমে ক্রমে আপন চলার বেগে পূর্ণ হয়ে নদী ওঠে জেগে। শক্ত সহজ এ সংসারটা যাহার লেখা বই হালকা ক'রে বুঝিয়ে সে দেয় কই। বুঝছি যত খুজছি তত, বুঝছি নে আর ততই-- কিছু বা হাঁ, কিছু বা না, চলছে জীবন স্বতই। কৃত্তিবাসী রামায়ণ সে বটতলাতে ছাপা, দিদিমায়ের বালিশ-তলায় চাপা। আলগা মলিন পাতাগুলি, দাগি তাহার মলাট দিদিমায়ের মতোই যেন বলি-পড়া ললাট। মায়ের ঘরের চৌকাঠেতে বারান্দার এক কোণে দিন-ফুরানো ক্ষীণ আলোতে পড়েছি একমনে। অনেক কথা হয় নি তখন বোঝা, যেটুকু তার বুঝেছিলাম মোট কথাটা সোজা-- ভালোমন্দে লড়াই অনিঃশেষ, প্রকাণ্ড তার ভালোবাসা, প্রচণ্ড তার দ্বেষ। বিপরীতের মল্লযুদ্ধ ইতিহাসের রূপ সামনে এল, রইনু বসে চুপ। শুরু হতে এইটে গেল বোঝা, হয়তো বা এক বাঁধা রাস্তা কোথাও আছে সোজা, যখন-তখন হঠাৎ সে যায় ঠেকে, আন্দাজে যায় ঠিকানাটা বিষম এঁকেবেঁকে। সব-জানা দেশ এ নয় কভু, তাই তো তেপান্তরে রাজপুত্তুর ছোটায় ঘোড়া না-জানা কার তরে। সদাগরের পুত্র সেও যায় অজানার পার খোঁজ নিতে কোন্ সাত-রাজা-ধন গোপন মানিকটার। কোটালপুত্র খোঁজে এমন গুহায়-থাকা চোর যাকে ধরলে সকল চুরির কাটবে বাঁধন-ডোর।