আমি ভিক্ষা করে ফিরতেছিলেম গ্রামের পথে পথে, তুমি তখন চলেছিলে তোমার স্বর্ণরথে। অপূর্ব এক স্বপ্ন-সম লাগতেছিল চক্ষে মম-- কী বিচিত্র শোভা তোমার, কী বিচিত্র সাজ। আমি মনে ভাবেতেছিলেম, এ কোন্ মহারাজ। আজি শুভক্ষণে রাত পোহালো ভেবেছিলেম তবে, আজ আমারে দ্বারে দ্বারে ফিরতে নাহি হবে। বাহির হতে নাহি হতে কাহার দেখা পেলেম পথে, চলিতে রথ ধনধান্য ছড়াবে দুই ধারে-- মুঠা মুঠা কুড়িয়ে নেব, নেব ভারে ভারে। দেখি সহসা রথ থেমে গেল আমার কাছে এসে, আমার মুখপানে চেয়ে নামলে তুমি হেসে। দেখে মুখের প্রসন্নতা জুড়িয়ে গেল সকল ব্যথা, হেনকালে কিসের লাগি তুমি অকস্মাৎ "আমায় কিছু দাও গো' বলে বাড়িয়ে দিলে হাত। মরি, এ কী কথা রাজাধিরাজ, "আমায় দাও গো কিছু'! শুনে ক্ষণকালের তরে রইনু মাথা-নিচু। তোমার কী-বা অভাব আছে ভিখারী ভিক্ষুকের কাছে। এ কেবল কৌতুকের বশে আমায় প্রবঞ্চনা। ঝুলি হতে দিলেম তুলে একটি ছোটো কণা। যবে পাত্রখানি ঘরে এনে উজাড় করি-- এ কী! ভিক্ষামাঝে একটি ছোটো সোনার কণা দেখি। দিলেম যা রাজ-ভিখারীরে স্বর্ণ হয়ে এল ফিরে, তখন কাঁদি চোখের জলে দুটি নয়ন ভরে-- তোমায় কেন দিই নি আমার সকল শূন্য করে।
I WAS WITH THE crowd when I was in the road; Where the road ends I find myself alone with you. I knew not when my day dimmed into dusk and my companions left me. I knew not when your doors opened and I stood surprised at my own heart's music. But are there still traces of tears in my eyes though the bed is made, the lamp is lit, and we are alone, you and I?
আপন মনে যে কামনার চলেছি পিছু পিছু নহে সে বেশি কিছু। মরুভূমিতে করেছি আনাগোনা-- তৃষিত হিয়া চেয়েছে যাহা নহে সে হীরা সোনা, পর্ণপুটে একটু শুধু জল, উৎসতটে খেজুরবনে ক্ষণিক ছায়াতল। সেইটুকুতে বিরোধ ঘোচে জীবন মরণের, বিরাম জোটে শ্রান্ত চরণের। হাটের হাওয়া ধুলায় ভরপুর, তাহার কোলাহলের তলে একটুখানি সুর সকল হতে দুর্লভ তা, তবু সে নহে বেশি; বৈশাখের তাপের শেষাশেষি আকাশ-চাওয়া শুষ্কমাটি-'পরে হঠাৎ-ভেসে-আসা মেঘের ক্ষণকালের তরে এক পশলা বৃষ্টিবরিষন, দুঃস্বপন বক্ষে যবে শ্বাস নিরোধ করে জাগিয়ে-দেওয়া করুণ পরশন; এইটুকুরই অভাব গুরুভার, না জেনে তবু ইহারই লাগি হৃদয়ে হাহাকার। অনেক দুরাশারে সাধনা করে পেয়েছি তবু ফেলিয়া গেছি তারে। যে পাওয়া শুধু রক্তে নাচে, স্বপ্নে যাহা গাঁথা, ছন্দে যার হল আসন পাতা, খ্যাতিস্মৃতির পাষাণপটে রাখে না যাহা রেখা, ফাল্গুনের সাঁঝতারায় কাহিনী যার লেখা, সে ভাষা মোর বাঁশিই শুধু জানে-- এই যা দান গিয়েছে মিশে গভীরতর প্রাণে, করি নি যার আশা, যাহার লাগি বাঁধি নি কোনো বাসা, বাহিরে যার নাইকো ভার, যায় না দেখা যারে, বেদনা তারই ব্যাপিয়া মোর নিখিল আপনারে।