×
Home
Artists
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Login
Login
×
Login
Signup
Email
Password
Forgot your password?
Log in
Or Continue With
Login With
Name
Email
Password
Confirm Password
Register
Or Continue With
Signup With
Home
Verses
কণিকা
মাঝারির সতর্কতা
মাঝারির সতর্কতা (majharir sotorkota)
উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে,
তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে।
Rendition
Related Topics
জন্মকালেই ওর লিখে দিল কুষ্ঠি
Verses
জন্মকালেই ওর লিখে দিল কুষ্ঠি,
ভালো মানুষের 'পরে চালাবে ও মুষ্টি।
যতই প্রমাণ পায় বাবা বলে, 'মোদ্দা,
কভু জন্মেনি ঘরে এত বড়ো যোদ্ধা।'
'বেঁচে থাকলেই বাঁচি' বলে ঘোষগুষ্টি,--
এত গাল খায় তবু এত পরিপুষ্টি।
আরো দেখুন
43
Verses
ভাবনা নিয়ে মরিস কেন খেপে।
দুঃখ-সুখের লীলা
ভাবিস এ কি রইবে বক্ষে চেপে
জগদ্দলন-শিলা।
চলেছিস রে চলাচলের পথে
কোন্ সারথির উধাও মনোরথে?
নিমেষতরে যুগে যুগান্তরে
দিবে না রাশ-ঢিলা।
শিশু হয়ে এলি মায়ের কোলে,
সেদিন গেল ভেসে।
যৌবনেরি বিষম দোলার দোলে
কাটল কেঁদে হেসে।
রাত্রে যখন হচ্ছিল দীপ জ্বালা
কোথায় ছিল আজকে দিনের পালা।
আবার কবে কী সুর বাঁধা হবে
আজকে পালার শেষে।
চলতে যাদের হবে চিরকালই
নাইকো তাদের ভার।
কোথা তাদের রইবে থলি-থালি,
কোথা বা সংসার।
দেহযাত্রা মেঘের খেয়া বাওয়া,
মন তাহাদের ঘূর্ণা-পাকের হাওয়া;
বেঁকে বেঁকে আকার এঁকে এঁকে
চলছে নিরাকার।
ওরে পথিক, ধর্-না চলার গান,
বাজা রে একতারা।
এই খুশিতেই মেতে উঠুক প্রাণ--
নাইকো কূল-কিনারা।
পায়ে পায়ে পথের ধারে ধারে
কান্না-হাসির ফুল ফুটিয়ে যা রে,
প্রাণ-বসন্তে তুই-যে দখিন হাওয়া
গৃহ-বাঁধন-হারা!
এই জনমের এই রূপের এই খেলা
এবার করি শেষ;
সন্ধ্যা হল, ফুরিয়ে এল বেলা,
বদল করি বেশ।
যাবার কালে মুখ ফিরিয়ে পিছু
কান্না আমার ছড়িয়ে যাব কিছু,
সামনে সে-ও প্রেমের কাঁদন ভরা
চির-নিরুদ্দেশ।
বঁধুর চিঠি মধুর হয়ে আছে
সেই অজানার দেশে।
প্রাণের ঢেউ সে এমনি করেই নাচে
এমনি ভালোবেসে।
সেখানেতে আবার সে কোন্ দূরে
আলোর বাঁশি বাজবে গো এই সুরে
কোন্ মুখেতে সেই অচেনা ফুল
ফুটবে আবার হেসে।
এইখানে এক শিশির-ভরা প্রাতে
মেলেছিলেম প্রাণ।
এইখানে এক বীণা নিয়ে হাতে
সেধেছিলেম তান।
এতকালের সে মোর বীণাখানি
এইখানেতেই ফেলে যাব জানি,
কিন্তু ওরে হিয়ার মধ্যে ভরি
নেব যে তার গান।
সে-গান আমি শোনাব যার কাছে
নূতন আলোর তীরে,
চিরদিন সে সাথে সাথে আছে
আমার ভুবন ঘিরে।
শরতে সে শিউলি-বনের তলে
ফুলের গন্ধে ঘোমটা টেনে চলে,
ফাল্গুনে তার বরণমালাখানি
পরাল মোর শিরে।
পথের বাঁকে হঠাৎ দেয় সে দেখা
শুধু নিমেষতরে।
সন্ধ্যা-আলোয় রয় সে বসে একা
উদাস প্রান্তরে।
এমনি করেই তার সে আসা-যাওয়া,
এমনি করেই বেদন-ভরা হাওয়া
হৃদয়-বনে বইয়ে সে যায় চলে
মর্মরে মর্মরে।
জোয়ার-ভাঁটার নিত্য চলাচলে
তার এই আনাগোনা।
আধেক হাসি আধেক চোখের জলে
মোদের চেনাশোনা।
তারে নিয়ে হল না ঘর বাঁধা,
পথে পথেই নিত্য তারে সাধা
এমনি করেই আসা-যাওয়ার ডোরে
প্রেমেরি জাল-বোনা।
আরো দেখুন
গীতহীন
Verses
চলে গেছে মোর বীণাপাণি
কতদিন হল সে না জানি।
কী জানি কী অনাদরে বিস্মৃত ধূলির 'পরে
ফেলে রেখে গেছে বীণাখানি।
ফুটেছে কুসুমরাজি-- নিখিল জগতে আজি
আসিয়াছে গাহিবার দিন,
মুখরিত দশ দিক, অশ্রান্ত পাগল পিক,
উচ্ছ্বসিত বসন্তবিপিন।
বাজিয়া উঠেছে ব্যথা, প্রাণ-ভরা ব্যাকুলতা,
মনে ভরি উঠে কত বাণী,
বসে আছি সারাদিন গীতিহীন স্তুতিহীন--
চলে গেছে মোর বীণাপাণি।
আর সে নবীন সুরে বীণা উঠিবে না পুরে,
বাজিবে না পুরানো রাগিণী;
যৌবনে যোগিনীমত, লয়ে নিত্য মৌনব্রত
তুই বীণা রবি উদাসিনী।
কে বসিবে এ আসনে মানসকমলবনে,
কার কোলে দিব তোরে আনি--
থাক্ পড়ে ওইখানে চাহিয়া আকাশপানে--
চলে গেছে মোর বীণাপাণি।
কখনো মনের ভুলে যদি এরে লই তুলে
বাজে বুকে বাজাইতে বীণা;
যদিও নিখিল ধরা বসন্তে সংগীত ভরা,
তবু আজি গাহিতে পারি না।
কথা আজি কথাসার, সুর তাহে নাহি আর,
গাঁথা ছন্দ বৃথা বলে মানি--
অশ্রুজলে ভরা প্রাণ, নাহি তাহে কলতান--
চলে গেছে মোর বীণাপাণি।
ভাবিতাম সুরে বাঁধা এ বীণা আমারি সাধা,
এ আমার দেবতার বর;
এ আমারি প্রাণ হতে মন্ত্রভরা সুধাস্রোতে
পেয়েছে অক্ষয় গীতস্বর।
একদিন সন্ধ্যালোকে অশ্রুজল ভরি চোখে
বক্ষে এরে লইলাম টানি--
আর না বাজিতে চায়, তখনি বুঝিনু হায়
চলে গেছে মোর বীণাপাণি।
আরো দেখুন
Please
Login
first to submit a rendition.
Click here
for help.