তুমি একটু কেবল বসতে দিয়ো কাছে আমায় শুধু ক্ষণেক তরে। আজি হাতে আমার যা-কিছু কাজ আছে আমি সাঙ্গ করব পরে। না চাহিলে তোমার মুখপানে হৃদয় আমার বিরাম নাহি জানে, কাজের মাঝে ঘুরে বেড়াই যত ফিরি কূলহারা সাগরে। বসন্ত আজ উচ্ছ্বাসে নিশ্বাসে এল আমার বাতায়নে। অলস ভ্রমর গুঞ্জরিয়া আসে ফেরে কুঞ্জের প্রাঙ্গণে। আজকে শুধু একান্তে আসীন চোখে চোখে চেয়ে থাকার দিন, আজকে জীবন-সমর্পণের গান গাব নীরব অবসরে।
খুদিরাম ক'সে টান দিল থেলো হুঁকোতে-- গেল সারবান কিছু অন্তরে ঢুকোতে। অবশেষে হাঁড়ি শেষ করি রসগোল্লার রোদে বসে খুদুবাবু গান ধরে মোল্লার; বলে, 'এতখানি রস দেহ থেকে চুকোতে হবে তাকে ধোঁয়া দিয়ে সাত দিন শুকোতে।'
সে যে পাশে এসে বসেছিল তবু জাগি নি। কী ঘুম তোরে পেয়েছিল হতভাগিনী। এসেছিল নীরব রাতে বীণাখানি ছিল হাতে, স্বপনমাঝে বাজিয়ে গেল গভীর রাগিণী। জেগে দেখি দখিন-হাওয়া পাগল করিয়া গন্ধ তাহার ভেসে বেড়ায় আঁধার ভরিয়া। কেন আমার রজনী যায়-- কাছে পেয়ে কাছে না পায় কেন গো তার মালার পরশ বুকে লাগি নি।