যে থাকে থাক্-না দ্বারে, যে যাবি যা-না পারে। যদি ওই ভোরের পাখি তোরি নাম যায় রে ডাকি, একা তুই চলে যা রে। কুঁড়ি চায়, আঁধার রাতে শিশিরের রসে মাতে। ফোটা ফুল চায় না নিশা, প্রাণে তার আলোর তৃষা, কাঁদে সে অন্ধকারে।
আমি বেসেছিলেম ভালো সকল দেহে মনে এই ধরণীর ছায়া আলো আমার এ জীবনে। সেই-যে আমার ভালোবাসা লয়ে আকুল অকূল আশা ছড়িয়ে দিল আপন ভাষা আকাশনীলিমাতে। রইল গভীর সুখে দুখে, রইল সে-যে কুঁড়ির বুকে ফুল-ফোটানোর মুখে মুখে ফাগুনচৈত্ররাতে। রইল তারি রাখী বাঁধা ভাবী কালের হাতে।