আমার শেষ রাগিণীর প্রথম ধুয়ো ধরলি রে কে তুই। আমার শেষ পেয়ালা চোখের জলে ভরলি রে কে তুই॥ দূরে পশ্চিমে ওই দিনের পারে অস্তরবির পথের ধারে রক্তরাগের ঘোমটা মাথায় পরলি রে কে তুই॥ সন্ধ্যাতারায় শেষ চাওয়া তোর রইল কি ওই-যে। সন্ধ্যা-হাওয়ায় শেষ বেদনা বইল কি ওই-যে। তোর হঠাৎ-খসা প্রাণের মালা ভরল আমার শূন্য ডালা-- মরণপথের সাথি আমায় করলি রে কে তুই॥
অনেক দিনের মনের মানুষ যেন এলে কে কোন্ ভুলে-যাওয়া বসন্ত থেকে॥ যা-কিছু সব গেছ ফেলে খুঁজতে এলে হৃদয়ে, পথ চিনেছ চেনা ফুলের চিহ্ন দেখে॥ বুঝি মনে তোমার আছে আশা-- আমার ব্যথায় তোমার মিলবে বাসা। দেখতে এলে সেই-যে বীণা বাজে কিনা হৃদয়ে, তারগুলি তার ধুলায় ধুলায় গেছে কি ঢেকে।
আরো চাই যে, আরো চাই গো-- আরো যে চাই। ভাণ্ডারী যে সুধা আমায় বিতরে নাই ॥ সকালবেলার আলোয় ভরা এই-যে আকাশ বসুন্ধরা এরে আমার জীবন-মাঝে কুড়ানো চাই-- সকল ধন যে বাইরে আমার, ভিতরে নাই ॥ প্রাণের বীণায় আরো আঘাত, আরো যে চাই। গুণীর পরশ পেয়ে সে যে শিহরে নাই। দিনরজনীর বাঁশি পূরে যে গান বাজে অসীম সুরে তারে আমার প্রাণের তারে বাজানো চাই। আপন গান যে দূরে তাহার, নিয়ড়ে নাই ॥