তোরা শুনিস নি কি শুনিস নি তার পায়ের ধ্বনি, ওই যে আসে, আসে, আসে। যুগে যুগে পলে পলে দিনরজনী সে যে আসে, আসে, আসে। গেয়েছি গান যখন যত আপন-মনে খ্যাপার মতো সকল সুরে বেজেছে তার আগমনী-- সে যে আসে, আসে, আসে॥ কত কালের ফাগুন-দিনে বনের পথে সে যে আসে, আসে, আসে। কত শ্রাবণ অন্ধকারে মেঘের রথে সে যে আসে, আসে, আসে। দুখের পরে পরম দুখে, তারি চরণ বাজে বুকে, সুখে কখন বুলিয়ে সে দেয় পরশমণি। সে যে আসে, আসে, আসে॥
আমার পরান যাহা চায়, তুমি তাই, তুমি তাই গো। তোমা ছাড়া আর এ জগতে মোর, কেহ নাই কিছু নাই গো। তুমি সুখ যদি নাহি পাও, যাও, সুখের সন্ধানে যাও, আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়মাঝে, আর কিছু নাহি চাই গো। আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন, তোমাতে করিব বাস, দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ মাস। যদি আর কারে ভালোবাস, যদি আর ফিরে নাহি আস, তবে, তুমি যাহা চাও, তাই যেন পাও, আমি যত দুখ পাই গো।
আমি যাব না গো অমনি চলে। মালা তোমার দেব গলে॥ অনেক সুখে অনেক দুখে তোমার বাণী নিলেম বুকে, ফাগুনশেষে যাবার বেলা আমার বাণী যাব বলে॥ কিছু হল, অনেক বাকি। ক্ষমা আমায় করবে না কি। গান এসেছে সুর আসে নাই,হল না যে শোনানো তাই-- সে-সুর আমার রইল ঢাকা নয়নজলে॥