সুধীর যখন কর্ম করেন সু-- ধীর করক্ষেপে ধৈর্যহারা কবি যান যে ক্ষেপে। রেগেমেগে কাজুরামকে বলেন-- "সুধীর কর-কে বোলাও জলদি করকে।" মাথা চুলকে বাঙাল যখন সামনে এসে দাঁড়ায় তখন তাহার মুখের ভাবটা উষ্মা তাঁহার তাড়ায়।
আজিকার অরণ্যসভারে অপবাদ দাও বারে বারে; বল যবে দৃঢ় কণ্ঠে অহংকৃত আপ্তবাক্যবৎ প্রকৃতির অভিপ্রায়, "নব ভবিষ্যৎ করিবে বিরল রসে শুষ্কতার গান'-- বনলক্ষ্মী করিবে না অভিমান। এ কথা সবাই জানে-- যে সংগীতরসপানে প্রভাতে প্রভাতে আনন্দে আলোকসভা মাতে সে যে হেয়, সে যে অশ্রদ্ধেয়, প্রমাণ করিতে তাহা আরো বহু দীর্ঘকাল যাবে এই এক ভাবে। বনের পাখিরা ততদিন সংশয়বিহীন চিরন্তন বসন্তের স্তবে আকাশ করিবে পূর্ণ আপনার আনন্দিত রবে।