চোখে দেখিস, প্রাণে কানা। হিয়ার মাঝে দেখ্-না ধরে ভুবনখানা। প্রাণের সাথে সে যে গাঁথা, সেথায় তারি আসন পাতা, বাইরে তারে রাখিস তবু-- অন্তরে তার যেতে মানা? তারি কণ্ঠে তোমার বাণী, তোরি রঙে রঙিন তারি বসনখানি। যে জন তোমার বেদনাতে লুকিয়ে খেলে দিনে রাতে সামনে যে ওই রূপে রসে সেই অজানা হল জানা।
হে রাজেন্দ্র তোমা-কাছে নত হতে গেলে যে ঊর্ধ্বে উঠিতে হয়,সেথা বাহু মেলে লহো ডাকি সুদুর্গম বন্ধুর কঠিন শৈলপথে; অগ্রসর করো প্রতিদিন যে মহান পথে তব বরপুত্রগণ গিয়াছেন পদে পদে করিয়া অর্জন মরণ-অধিক দুঃখ। ওগো অন্তরযামী, অন্তরে যে রহিয়াছে অনির্বাণ আমি দুঃখে তার লব আর দিব পরিচয়। তারে যেন ম্লান নাহি করে কোনো ভয়, তারে যেন কোনো লোভ না করে চঞ্চল। সে যেন জ্ঞানের পথে রহে সমুজ্জ্বল, জীবনের কর্মে যেন করে জ্যোতি দান, মৃত্যুর বিশ্রাম যেন করে মহীয়ান।