ওই আদরের নামে ডেকো সখা মোরে! ছেলেবেলা ওই নামে আমায় ডাকিত-- তাড়াতাড়ি খেলাধুলা সব ত্যাগ করে অমনি যেতেম ছুটে, কোলে পড়িতাম লুটে। রাশি-করা ফুলগুলি পড়িয়া থাকিত। নীরব হইয়া গেছে যে স্নেহের স্বর-- কেবল স্তব্ধতা বাজে আজি এ শ্মশান-মাঝে কেবল ডাকি গো আমি "ঈশ্বর ঈশ্বর'! মৃত কণ্ঠে আর যাহা শুনিতে না পাই সে নাম তোমারি মুখে শুনিবারে চাই। হাঁ সখা, ডাকিয়ো তুমি সেই নাম ধরে-- ডাকিলেই সাড়া পাবে, কিছু না বিলম্ব হবে, তখনি কাছেতে যাব সব ত্যাগ করে।
বহু লক্ষ বর্ষ ধরে জ্বলে তারা, ধাবমান অন্ধকার কালস্রোতে অগ্নির আবর্ত ঘুরে ওঠে। সেই স্রোতে এ ধরণী মাটির বুদ্বুদ্; তারি মধ্যে এই প্রাণ অণুতম কালে কণাতম শিখা লয়ে অসীমের করে সে আরতি। সে না হলে বিরাটের নিখিলমন্দিরে উঠত না শঙ্খধ্বনি, মিলত না যাত্রী কোনোজন, আলোকের সামমন্ত্র ভাষাহীন হয়ে রইত নীরব।