ওরে পাখি, থেকে থেকে ভুলিস কেন সুর, যাস নে কেন ডাকি-- বণীহারা প্রভাত হয় যে বৃথা জানিস নে তুই কি তা। অরুণ-আলোর প্রথম পরশ গাছে গাছে লাগে, কাঁপনে তার তোরই যে সুর পাতায় পাতায় জাগে-- তুই যে ভোরের আলোর মিতা জানিস নে তুই কি তা। জাগরণের লক্ষ্মী যে ওই আমার শিয়রেতে আছে আঁচল পেতে, জানিস নে তুই কি তা। গানের দানে উহারে তুই করিস নে বঞ্চিতা। দুঃখরাতরে স্বপনতলে প্রভাতী তোর কী যে বলে নবীন প্রাণের গীতা, জানিস নে তুই কি তা।
কনে দেখা হয়ে গেছে, নাম তার চন্দনা; তোমারে মানাবে ভায়া, অতিশয় মন্দ না। লোকে বলে, খিট্খিটে, মেজাজটা নয় মিঠে-- দেবী ভেবে নেই তারে করিলে বা বন্দনা। কুঁজো হোক, কালো হোক, কালাও না, অন্ধ না।