পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে, পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া। যাত্রাপথের আনন্দগান যে গাহে তারি কণ্ঠে তোমারি গান গাওয়া ॥ চায় না সে জন পিছন-পানে ফিরে, বায় না তরী কেবল তীরে তীরে, তুফান তারে ডাকে অকূল নীরে যার পরানে লাগল তোমার হাওয়া ॥ পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে, পথিকচিত্তে তোমার তরী বাওয়া। দুয়ার খুলে সমুখ-পানে যে চাহে তার চাওয়া যে তোমার পানে চাওয়া। বিপদ বাধা কিছুই ডরে না সে, রয় না পড়ে কোনো লাভের আশে, যাবার লাগি মন তারি উদাসে-- যাওয়া সে যে তোমার পানে যাওয়া ॥
রাজা মহারাজা কে জানে,আমিই রাজাধিরাজ। তুমি উজীর,কোতোয়াল তুমি, ওই ছোঁড়াগুলো বরকন্দাজ। যত সব কুঁড়ে আছে ঠাঁই জুড়ে কাজের বেলায় বুদ্ধি যায় উড়ে। পা ধোবার জল নিয়ে আয় ঝট্, কর্ তোরা সব যে যার কাজ।
দখিন-হাওয়া, জাগো জাগো, জাগাও আমার সুপ্ত এ প্রাণ। আমি বেণু, আমার শাখায় নীরব-যে হায় কত-না গান। জাগো জাগো॥ পথের ধারে আমার কারা ওগো পথিক বাঁধনহারা, নৃত্য তোমার চিত্তে আমার মুক্তিদোলা করে যে দান। জাগো জাগো॥ গানের পাখা যখন খুলি বাধা-বেদন তখন ভুলি। যখন আমার বুকের মাঝে তোমার পথের বাঁশি বাজে বন্ধভাঙার ছন্দে আমার মৌন-কাঁদন হয় অবসান। জাগো জাগো॥