আমায় থাকতে দে-না আপন-মনে। সেই চরণের পরশখানি মনে পড়ে ক্ষণে ক্ষণে॥ কথার পাকে কাজের ঘোরে ভুলিয়ে রাখে কে আর মোরে, তার স্মরণের বরণমালা গাঁথি বসে গোপন কোণে॥ এই-যে ব্যথার রতনখানি আমার বুকে দিল আনি এই নিয়ে আজ দিনের শেষে একা চলি তার উদ্দেশে। নয়নজলে সামনে দাঁড়াই, তারে সাজাই তারি ধনে॥
রজনীর শেষ তারা, গোপনে আঁধারে আধো-ঘুমে বাণী তব রেখে যাও প্রভাতের প্রথম কুসুমে ॥ সেইমত যিনি এই জীবনের আনন্দরূপিণী শেষক্ষণে দেন যেন তিনি নবজীবনের মুখ চুমে ॥ এই নিশীথের স্বপ্নরাজি নবজাগরণক্ষণে নব গানে উঠে যেন বাজি। বিরহিণী যে ছিল রে মোর হৃদয়ের মর্ম-মাঝে বধূবেশে সেই যেন সাজে নবদিনে চন্দনে কুঙ্কুমে ॥