সুখের মাঝে তোমায় দেখেছি, দুঃখে তোমায় পেয়েছি প্রাণ ভ’রে। হারিয়ে তোমায় গোপন রেখেছি, পেয়ে আবার হারাই মিলনঘোরে।। চিরজীবন আমার বীণা-তারে তোমার আঘাত লাগল বারে বারে, তাই তো আমার নানা সুরের তানে প্রাণে তোমার পরশ নিলেম ধ’রে।। আজ তো আমি ভয় করি নে আর লীলা যদি ফুরায় হেথাকার। নূতন আলোয় নূতন অন্ধকারে লও যদি বা নূতন সিন্ধুপারে তবু তুমি সেই তো আমার তুমি– আবার তোমায় চিনব নূতন ক’রে।।
বৃষ্টিশেষের হাওয়া কিসের খোঁজে বইছে ধীরে ধীরে। গুঞ্জরিয়া কেন বেড়ায় ও যে বুকের শিরে শিরে॥ অলখ তারে বাঁধা অচিন বীণা ধরার বক্ষে রহে নিত্য লীনা-- এই হাওয়া কত যুগের কত মনের কথা বাজায় ফিরে ফিরে॥ ঋতুর পরে ঋতু ফিরে আসে বসুন্ধরার কূলে চিহ্ন পড়ে বনের ঘাসে ঘাসে ফুলের পরে ফুলে। গানের পরে গানে তারি সাথে কত সুরের কত যে হার গাঁথে-- এই হাওয়া ধরার কণ্ঠ বাণীর বরণমালায় সাজায় ঘিরে ঘিরে॥