আমি যখন তাঁর দুয়ারে ভিক্ষা নিতে যাই তখন যাহা পাই সে যে আমি হারাই বারে বারে ॥ তিনি যখন ভিক্ষা নিতে আসেন আমার দ্বারে বন্ধ তালা ভেঙে দেখি আপন-মাঝে গোপন রতনভার, হারায় না সে আর ॥ প্রভাত আসে তাঁহার কাছে আলোক ভিক্ষা নিতে, সে আলো তার লুটায় ধরণীতে। তিনি যখন সন্ধ্যা-কাছে দাঁড়ান ঊর্ধ্বকরে, তখন স্তরে স্তরে ফুটে ওঠে অন্ধকারের আপন প্রাণের ধন-- মুকুটে তাঁর পরেন সে রতন ॥
প্রভাত-আলোরে মোর কাঁদায়ে গেলে মিলনমালার ডোর ছিঁড়িয়া ফেলে॥ পড়ে যা রহিল পিছে সব হয়ে গেল মিছে, বসে আছি দূর-পানে নয়ন মেলে॥ একে একে ধূলি হতে কুড়ায়ে মরি যে ফুল বিদায়পথে পড়িছে ঝরি। ভাবি নি রবে না লেশ সে দিনের অবশেষ-- কাটিল ফাগুনবেলা কী খেলা খেলে॥