৭ কার্তিক, ১৩৩৯


 

চিঠিপত্র (chithipotro 14)


"পুনশ্চ'র কবিতাগুলোকে কোন্‌ সংজ্ঞা দেবে। পদ্য নয়, কারণ পদ নেই। গদ্য  বললে, অতিব্যাপ্তি দোষ ঘটে। পক্ষিরাজ ঘোড়াকে পাখি বলবে না, ঘোড়া বলবে? গদ্যের পাখা উঠেছে এ কথা যদি বলি, তবে শত্রুপক্ষ বলে বসবে, "পিঁপিড়ার পাখা ওঠে মরিবার তরে।' জলে স্থলে যে সাহিত্য বিভক্ত, সেই সাহিত্যে এ জিনিসটা জল নয়, তাই বলে মাটিও নয়। তাহলে খনিজ বলতে দোষ আছে কি। সোনা বলতে পারি এমন অহংকার যদি বা মনে থাকে মুখে বলবার সাহস নেই। না হয় তাঁবাই হল। অর্থাৎ, এমন কোনো ধাতু যাতে মূর্তি-গড়ার কাজ চলে। গদাধরের মূর্তিও হতে পারে, তিলোত্তমারও হয়। অর্থাৎ রূপরসাত্মক গদ্য, অর্থভারবহ গদ্য নয়। তৈজস পত্র।

 

সংজ্ঞা পরে হবে, আপাতত প্রশ্ন এই -- ওতে চেহারা গড়ে উঠেছে কিনা। যদি উঠে থাকে তাহলেই হল।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •